শক্তিপদ পণ্ডিত

 

  ছড়া সম্রাট ভবানীদা









শক্তিপদ পণ্ডিত





 

 


অতিথি আসনে ছিলেন

ছড়া সম্রাট ভবানীদা,

তাঁরই সামনে ছড়া পাঠে

মঞ্চে উঠে কাঁপছিল পা

 

ছড়া পাঠটি সেদিন প্রথম

মাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,

শুনছিলেন দাদাআমার তখন

ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি

 

না জানার ফল - মাইক ছিল

একটু দূরে মুখের থেকে,

আরও কাছে এগিয়ে যাও

বললেন দাদা আমায় দেখে

 

তাঁর মুখে সেই প্রথম শোনা

খুবই সুন্দর পাঠ হয়েছে’,

সেটাই আমার পরম পাওয়া

সুখ-স্মৃতিটা বুকে রয়েছে

 

তারপরও কত অভিজ্ঞতা

তাঁরই সাথে সেলফি তোলা,

ভবানীপ্রসাদ মজুমদারকে

কোনোদিন কি যাবে ভোলা!

 


সবার প্রিয় ভবানীপ্রসাদ মজুমদার

ভবানী প্রসাদ মজুমদার সম্বন্ধে আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছি। সবার প্রিয় ভবানীদা মানে ভবানীপ্রসাদ মজুমদার সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে শেষ করা যাবে না। আমায়িক মিতভাষী মানুষ। সবার সঙ্গে হেসে কথা বলেন। কাউকে কোনঅ সৎ উপদেশ দিতে বা কারও অনুরোধ রাখতে দ্বিধা করেন না। তাই তিনি সবার কাছে ভীষণ প্রিয়। বহু ছড়া-কবিতার অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি

তিনি মনেপ্রাণে একজন বাঙালি কবি। তাঁর জন্ম ৯ এপ্রিল ১৯৫৩। বাংলা ছড়ার জগতে তাঁকে সবাই চেনে। প্রায় কুড়ি হাজারের বেশি ছড়া লিখেছেন। তিনি ছড়ার সম্রাট। বিভিন্ন আঙ্গিকে লেখা তাঁর ছড়া সবার মতো আমাকেও ভীষণ আকৃষ্ট করে। দু-একটা উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে কেন সবাই তাঁর লেখায় মুগ্ধ হয়

দই-সন্দেশ মিষ্টি ভালো,

চড়ুইভাতি ফিস্টি ভালো

টাটকা ইলিশফিশ’-টি ভালো,

লম্বা মেনু-র লিস্টি ভালো।

 

ছেলে আমার খুব সিরিয়াস কথায়-কথায় হাসে না,

জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না।

 

এরকম বহু তাঁর চিত্তাকর্ষক ছড়া শুধু শিশুদের নয় বড়োদেরও মুগ্ধ করে। ভবানীদা তাই বাঙালির কাছে, বাঙালির সব ঘরে এত জনপ্রিয়

  

<