কিছু একটা বিপর্যয় ঘটেছে বুঝে রিয়া থতমত খেয়ে বলে, “আজ্ঞে হ্যাঁ! আজ শনিবার। গতকাল ছিল শুক্রবার। আমরা কলকাতা থেকে ফিরেছি। আগামীকাল রোববার…”
“অতটাও মাথাটা যায়নি আমার! দিনক্ষণ মাপতে বলিনি তোকে। শনিবার বলেই বিপর্যয়টা হয়ে গেল বুঝলি?”
“ভেঙে বলো না! অত কথার মারপ্যাঁচ আমি বুঝি না। যাই, দুই কাপ চা নিয়ে আসি রান্নাঘর থেকে, তারপর তোমার ধাঁধার উত্তর দেব।”
রিয়ার হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়ে সোফায় বসিয়ে দিয়ে অর্ক কাতর মুখে বলে, “আমার ল্যাপটপটা চলছে না জানিস? সোমবার আমার প্রেজেন্টেশন, আর আজই… সব ডেটা ওখানেই ছিল। কী যে হবে এখন!”
রিয়া হাতটা মাছি তাড়ানোর মতো করে নাড়িয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে, “ওহ্, এই ব্যাপার। তুসসি চিন্তা ন করো জি! স্রেফ এক ফোন কি বাত হ্যায়।”
“তুই কি সর্দারজির কথা বলেছিস? ওঁর নাম্বার নিয়েছিস নাকি? আমি তো ভুলেই মেরে দিয়েছি।”
“বুঝলে অর্কদা, এটা আমার এলাকা। ফোন নম্বর তো নিয়েছিই। নেহেরু প্লেস গেলে ল্যাপটপ ঠিক হয়ে যায় জানি, কিন্তু বাবা গিয়েছে ট্যুরে, আর আমার চেনাজানা তো নেই সেখানে… সর্দারজি বলছিলেন না ওঁর ছেলের নাকি একটা ইলেক্ট্রনিক্সের শো-রুম আছে ভাগীরথ প্যালেস মার্কেটে? ফোন করে দেখা যাক কোনও উপায় বার করতে পারেন কি না।”
ল্যাপটপ ঠিক হয়ে যাবার সম্ভাবনায় অর্ক সোফায় সোজা হয়ে বসে। তাঁর চোখ-মুখে আবার জ্যোতি ফিরে এসেছে দেখে মোবাইলে ফোন করতে করতে হাসে রিয়া।
“আরে ব্বাস, বিটিয়া তুম? সব ঠিক আছে?” ফোনের অপর প্রান্তে সর্দারজির গলা।
“ঠিক নেই আঙ্কল। আমার দাদার ল্যাপটপটা খারাপ হয়ে গেছে। আপনার কোনও চেনাজানা সারাইয়ের দোকান আছে?”
“বিলকুল আছে! আমার বন্ধুর দোকান। আর ঠিক আমার ছেলের শো-রুমের পাশেই। খুব ভালো সময়ে ফোন করেছ। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আমি চাঁদনি চৌক যাচ্ছি। কাজ আছে। আমার সঙ্গে চলো দুজনে। গাড়ি নিয়ে চলে আসি তোমাদের বাড়ির সামনে…”
মোবাইলে কথা শেষ হতেই রিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠল অর্ক। রিয়া দৌড়ে ভিতরে যেতে যেতে বলল, “স্নান করে নাও দেখি। এখুনি আঙ্কল এসে পড়বেন। ল্যাপটপও সারানো হবে আর জামা মসজিদের পিছনের গলিতে বিরিয়ানিও খাওয়া হবে। অবশ্যই তোমার ঘাড়ে সব খরচ ফেলা হবে।”
“ল্যাপটপ ঠিক হয়ে গেলে বিরিয়ানি কেন, তোকে কাবাবও খাওয়াব।” বলে উঠে পড়ে অর্ক।
সর্দারজির বিশাল কালো রঙের গাড়িটা রিয়াদের বসন্তকুঞ্জের ফ্ল্যাটের সামনে এসে দাঁড়াল। অনেক চেষ্টাতেও ভদ্রলোককে বাড়ির ভিতরে আনা গেল না। তিনি বললেন, “চিনে যখন গিয়েছি, একদিন মাছ-ভাত খেতে আসতেই হবে। আজ ছেড়ে দে মা, একটা ছোট্ট কাজ আছে। সেটা সারতে হবে। ততক্ষণে ল্যাপটপটাও সারানো হয়ে যাবে আশা করি।”
“স্যার, আপনি যে কী উপকার করলেন…” অর্ক কৃতজ্ঞতা জানাবার চেষ্টা করে।
“কোই গল নহি পুত্তর! আগে তোর ল্যাপটপটা সারানো হোক, তবে তো! এই প্রথম দিল্লি এলি নিশ্চয়ই?”
“ছোটবেলায় এসেছি বাবা-মায়ের সঙ্গে। সব ভুলে গেছি। এবার রিয়ার সঙ্গে ঘুরে নেব ভাবছি।”
“আরে আমাকেও নিস সঙ্গে। দিল্লির ইতিহাস একেবারে গাইডের মতো বলে যেতে পারি আমি আর আমাকে নিবি না!”
“আরে সে তো আমাদের পরম সৌভাগ্য আঙ্কল! আমার এই বোনটা আবার ইতিহাস-টিতিহাস তেমন জানে না বলেই মনে হয়। মাইক্রোবায়োলজি পড়তে গিয়ে যত রাজ্যের জীবাণু নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা হবে এবার থেকে। আমার তো ভাবতেই কেমন গা গুলিয়ে উঠছে।”
রিয়া নিঃশব্দে অর্কর কোমরে একটা জোরে চিমিটি কাটে। সর্দারজি তাঁর ড্রাইভারের সঙ্গে খোশ গল্প জুড়ে দেন। বোঝাই যায়, অনেকদিন পর তাঁদের দুজনের দেখা হয়েছে।
গাড়ি চাণক্যপুরী ছাড়িয়ে ইন্ডিয়া গেটের কাছে আসতেই অর্ক মন দিয়ে দৃশ্য দেখতে থাকে।
চাঁদনি চৌকে সকালবেলায় সবেমাত্র দোকান খুলেছে। সর্দারজির ছেলের শো-রুম খুলে একজন পরিষ্কার করছে। ওঁর ছেলে এখনও আসতে দেরি আছে জানা গেল। সর্দারজি রিয়াদের সোফায় বসিয়ে ভিতরে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর বিরাট বিরাট কাঁসার গ্লাসে লস্সি এল অর্কদের জন্য। লস্সিতে চুমুক দিয়ে অর্ক বলল, “একেবারে পাটিয়ালা থেকে আনিয়েছে মনে হচ্ছে। আহা, বহুদিন মনে থাকবে। এঁদের আতিথেয়তার কোনও ত্রুটি থাকে না বলে শুনেছি।”
ভিতর থেকে ফিরে এসে সর্দারজি জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন লাগল লস্সি? কাছের এক বিখ্যাত দোকান থেকে তোরা আসার আগেই আনিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে বলেছিলাম।”
লস্সির গ্লাসে শেষ চুমুক দিয়ে টেবিলে গ্লাসটা নামিয়ে রেখে অর্ক বলে, “আঙ্কল, আমার ল্যাপটপ…”
একটি অল্পবয়সি ছেলে অর্কদের সামনে আসে। তাকে সর্দারজি বলেন, “ভাইয়া কো লে যাও সাথ মে।” তারপর অর্ককে বলেন, “এর সঙ্গে চলে যাও, কম্পিউটারের সমস্যা জানিয়ে দিও। আমার বন্ধু দোকানে আছে। স্পেয়ার-পার্টস লাগলেই তার দাম দিতে হবে শুধু। আমি আর রিয়া একটু সামনের গুরুদ্বারা থেকে ঘুরে আসি। যাবি রিয়া-মা?”
রিয়া এক লাফে গুরুদ্বারা যাবার জন্য তৈরি। সে কোনোদিন সেখানে যায়নি।
ল্যাপটপ সারাতে দুপুর গড়ায়। সর্দারজির ছেলে শো-রুম ঘুরিয়ে দেখায় রিয়াকে। খুব সম্ভব কোনও ব্যাবসা-সংক্রান্ত মিটিং ছিল সর্দারজির। শেষ হতে তিনি রিয়া আর অর্ককে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মধ্যাহ্নভোজে। চাঁদনি চৌকের রাস্তার উপর একটা ছোট্ট দোকানে ঢুকে সর্দারজি অর্ডার করেন বাটার চিকেন আর নানের। অর্কর পেটে অনেকটা খিদে। বাটার চিকেন খাওয়ার কথা ছিল সর্দারজির বাড়িতে। অর্কর মনের কথাটা বুঝি ভদ্রলোক বুঝে ফেলেন।
“আমার বাড়িতে বাটার চিকেন খেতে আসবার নেমন্তন্ন কিন্তু বাতিল হয়নি, বুঝলি রিয়া? তবে এই দোকানটা দেখতে ছোটো হলেও দারুণ হাত রাঁধুনি ছেলেটার। ভাবলাম আজই এক হাত হয়ে যাক।”
“কলকাতায় বাটার চিকেন তেমন জুতসই হয় না জানেন…”
অর্কর কথা তার মুখ থেকে কেড়ে নেন সর্দারজি, “হবে কী করে? বাটার চিকেন বানানোর পিছনে যে আভিজাত্য লুকিয়ে আছে, সে শুধু পাবে এই দিল্লিতেই। এর রেসিপি নিয়ে রীতিমতো মামলা চলছে আদালতে।”
“খাবার নিয়ে মামলা? বলেন কী?” রিয়া বিস্মিত হয়।
“মামলা যা খুশি নিয়ে হতে পারে। কলকাতার রসগোল্লা নিয়ে আদালতে টানাপড়েন চলল না? বাটার চিকেনই-বা বাকি থাকে কেন?”
গল্পের লোভে নড়েচড়ে বসে অর্ক। কিন্তু দোকানের সামনে যে কারিগর বাটার চিকেন বানাচ্ছে, তার কেরামতির দিকেও সজাগ থাকে তার চোখ।
সর্দারজি প্লেটে রেখে যাওয়া ভিনিগারে ভেজানো পিঁয়াজ থেকে একটা পিঁয়াজ তুলে হালকা কামড় দিয়ে বলেন, “সে অনেককাল আগের কথা। দেশভাগ হতে তখনও বছর পনেরো বাকি। পেশোয়ার শহরে এক নামজাদা রেস্তোরাঁয় কাজ করত একই নামের দুজন মানুষ, কুন্দনলাল। একজন ছিল কুন্দনলাল গুজরাল, আর একজন ছিল কুন্দনলাল জগ্গি। দুই কুন্দনই খাবার বানাত মোতিমহল রেস্তোরাঁয়। পেশোয়ার এখন পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলে। তারপর তো দেশ ভাগ হল। ভারত স্বাধীনও হল। দুই কুন্দন পালিয়ে এল এই শহরে। পেট চালাতে হবে। তারা দুই বন্ধু মিলে খুলে ফেলল নিউ মোতিমহল রেস্তোরাঁ। এদেরই একজন, সঠিক বলা যায় না কে, সারাদিন খদ্দের কম আসায় তন্দুরের উপর চিকেন গরম হাওয়ায় শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেতে দেখে একটা নতুন মতলব বার করে ফেলে। শুখা চিকেন তন্দুরি তো আর কেউ খেতে চাইবে না, তাই টম্যাটো দিয়ে তৈরি গ্রেভির সঙ্গে মাখন ঢেলে চিকেনের টুকরো কেটে কিছুক্ষণ সাঁতলে নিয়ে বানিয়ে ফেলে বাটার চিকেন। তারপর থেকে নাকি এই রেসিপি প্রবল জনপ্রিয় হয়। প্রথমে দরিয়াগঞ্জে খোলে এই রেস্তোরাঁ।
“ভালোই চলছিল সব। শোনা যায়, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু স্বয়ং তাঁর কন্যাকে নিয়ে খেতে আসতেন সেই রেস্তোরাঁয়। এমনকি তিনি নাকি রিচার্ড নিক্সন এবং জ্যাক কেনেডিকেও এই রেস্তোরাঁয় খেতে নিয়ে আসেন। আসলে দরিয়াগঞ্জে তখনও সাহেবসুবোদের বাসস্থান ছিল। কতদূর সত্যি, জানা মুশকিল। তারপর দুই কুন্দন আলাদা হয়ে যায়। দুটি ভিন্ন রেস্তোরাঁ খুলে যায়। বিবাদ বাড়তে থাকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে। বাকবিতণ্ডা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আজও সেই মামলার মীমাংসা হয়নি।”
একটা প্লেটে বাটার নান, আর একটি বড়ো রেকাবে ধূমায়িত বাটার চিকেন এসে যেতেই অর্ক সেদিকে আগ্রহী হয়ে ছোটো ছোটো প্লেটে সবার জন্য খাবার পরিবেশন করতে করতে বলে, “আমি আপনার কথা শুনতে শুনতে দেখেও নিলাম বাটার চিকেন বানাবার কায়দা। অনেকটা মাখন ঢেলে প্রথমে একটু গরম করেই আগে বানিয়ে রাখা লালচে গ্রেভি ঢেলে দিয়ে নাড়াতে থাকল বেশি আঁচে, তারপর গোটা চিকেন একটা মস্ত চাকু দিয়ে ঝপঝপ কেটে ফেললে। টুকরোগুলো ঢেলে দিল বানাবার বড়ো চাটুতে। তারপর আবার মাখন ঢেলে জোরে জোরে নাড়তে থাকল। শেষে কী একটা সবুজ রঙের গুঁড়ো মেশাল, বুঝতে পারলাম না।”
“ওই গুঁড়োটা হচ্ছে কস্তূরী মেথি, শুকনো মেথি শাক। অত মাখন দেয় বলেই না এর নাম হচ্ছে মুর্গ মখানি! ইংরেজিতে বাটার চিকেন হয়ে গিয়েছে। গ্রেভিটা লালচে, কারণ ওতে প্রচুর টম্যাটো আছে। তবে মশলার রেসিপি সবার আলাদা আলাদা। এমনকি দুই কুন্দনও এই ব্যাপারটা গোপন রাখত।”
প্লেট থেকে একটু গ্রেভি মুখে ফেলে দিয়ে রিয়া বলে, “দারুণ! আঙ্কল, আপনার জন্যই এমন উপাদেয় খাবার খাওয়া গেল। নইলে বাটার চিকেন তো কতই আনাই আমরা অনলাইনে অর্ডার করে, কিন্তু এই হচ্ছে আসল স্বাদ।”
চোখ বন্ধ করে গ্রেভি মাখানো নান চিবোতে চিবোতে সর্দারজি বলেন, “আসল কি নকল জানি না। তবে এই পাঞ্জাবের লোকে যে বাটার চিকেনের আবিষ্কর্তা বলে নিজেদের দাবি করে, সেটাও ঠিক নয়।”
“তবে কাদের হাতে আবিষ্কৃত হয় মুর্গ মখানি ওরফে বাটার চিকেন?” অর্ক চিকেনের একটা
টুকরো কায়দা করে মুখে পুরে দিয়ে জিজ্ঞেস করে?
“কে রুটি আবিষ্কার করেছিল বলতে পারবি? বা কে প্রথম পেঁয়াজ ফলিয়েছিল? এই ব্যাপারটাও ঠিক তেমনি। মাংস পুড়িয়ে খেতে শুরু করে মানুষ, আর আজ আমরা তন্দুরে সেগুলো ভরে দিই। অনেক যন্ত্রপাতি আবিষ্কারে বিজ্ঞানীদের নামের তকমা লাগে, আবার অনেক যন্ত্র কে বানিয়েছিল হলফ করে বলা মুশকিল। একজন খাবার বিশেষজ্ঞ আমায় বলেছিলেন, বাটার চিকেন নাকি মেসোপটেমিয়াতেও বানানো হত। সত্যি কি না কে বলতে পারবে। হয়তো সেই পদের অন্য নাম ছিল, ভিন্ন স্বাদ ছিল।”
সর্দারজির মোবাইল বাজে। তিনি ন্যাপকিনে হাত মুছে মোবাইলে কার সঙ্গে যেন পাঞ্জাবি ভাষায় কীসব কথা বলেন। খুব খুশি দেখায় তাঁকে। মোবাইল খাওয়ার টেবিলের উপর রেখে গলার স্বর উঁচু করে দোকানদারকে বলেন, “গল সুন ওয়ে, কুলফি ফলুদা লে আনা দো প্লেট।”
“দুই প্লেট কেন আঙ্কল?” রিয়া বোঝে সর্দারজি নিজেকে বাদ দিচ্ছেন।
“গুরুদ্বারাতে হালুয়া পুরি খেয়ে আজকের জন্য চিনির কোটা পুরো হয়ে গেছে। সুগার বাড়লে বিবির কাছে বকুনি খেতে হবে। কাজের কথা হল, ইন সাহাব কা ল্যাপটপ ঠিক হো গয়া।”
“গ্রেট! আঙ্কল তুসসি গ্রেট হো।” বলেই সর্দারজির দিকে কুর্নিশ করার ভঙ্গি করে অর্ক।
“আরও শোন, সারানোর খরচও দিতে হবে না। কারণ ডিসপ্লের পোর্টটা খারাপ ছিল। সামান্য দাম, তাই নেবে না আমার দোস্ত। বড়ো কারবার করে তো! চল, শপে যাওয়া যাক। তোর ল্যাপটপ মালিকের জন্য মনখারাপ করে বসে আছে।”
পায়ে হেঁটে সর্দারজির শো-রুম পর্যন্ত আসতে গিয়ে নীচু গলায় রিয়া অর্ককে বলে, “ভাগ্যিস তোমার ল্যাপটপটা আজ বিগড়েছিল। তাই তো এমন উপাদেয় বাটার চিকেন খেতে পেলাম। তবে সারানোর খরচ যখন নেই, আজ রাতে তুমি আমাকে আইসক্রিম খাওয়াবে অর্কদা।”
“দিলওয়ালে স্রেফ দিল্লি মে হি মিলতে হ্যায়, শুধু তোকে বাদ দিয়ে।” বলেই সর্দারজির কাছে চাঁদনি চৌকের রাস্তার ইতিহাস জানতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে অর্ক।
(ক্রমশ)