বিজ্ঞানের পরিভাষায় বহু
অ্যাপোনিম স্থান পেয়েছে। ভোল্ট, গ্যালভানাইজ, নিকোটিন, ডেসিবেল, অ্যালগরিদম। এ ছাড়াও কত রকম সূত্র চিহ্নিত হয়েছে বিজ্ঞানীর
নামে। তেমনি অ্যাপোনিম, ‘গলগি’ শব্দটি।
গলগি, গলগি অ্যাপারেটাস কিংবা গলগি কমপ্লেক্স। যে নামেই চিহ্নিত
হোক, আদতে এটি যন্ত্র বিশেষ, অর্থাৎ অ্যাপারেটাস। উদ্ভট
নাম! কেমন এই যন্ত্র, কী কাজ করে, কোথায় থাকে?
থাকে কোষের মধ্যে। কোষ বা
সেল (Cell) জীবিত বস্তুর
সংক্ষিপ্ততম রূপ। ল্যাটিন ভাষার সেলুলার (ছোট ঘর) থেকে সেল (কোষ) শব্দের উৎপত্তি।
খুবই ক্ষুদ্র আর সুক্ষ গঠন কোষের। বাইরে মেমব্রেন বা পর্দা আর ভিতরে সাইটোপ্লাজম।
অনেক যন্ত্রপাতি, প্রোটিন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিডের অবস্থান পর্দার ভিতর, সাইটোপ্লাজমে।
কোষের পরিচয় সহজে জানা
সম্ভব হয়নি। তিনশ বছরের নিরলস গবেষণা ধীরে ধীরে উদ্ঘাটন করেছিল বহু রকম তথ্য। ‘কোষ’
বিষয়টির সম্পূর্ণ তথ্য উদ্ধার হয়েছে, এখনও বলা যাবে না।
এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন
তুলেছিলেন অনেকেই। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ সঠিক ভাবে ইন্টারন্যাল রেটিকুলার
অ্যাপারেটাস-এর অস্তিত্ব প্রমাণ করেছিল। কালক্রমে বিজ্ঞান পরিভাষায় গল্গি
কমপ্লেক্স হিসাবে স্থান লাভ করল (1956) এই যন্ত্র।
আবিষ্কারকের নামেই (aponymous)
যন্ত্রের নাম।
প্রোটিন লিপিড অণু গুলোর
পরিবর্তন সাধন করে নির্দিষ্ট জায়গায় চালান করে গল্গি। এই কাজ ব্যাহত হলে তৈরি হয়
বহু রোগ। স্নায়ুর অসুখ, ক্যানসার, হার্টের রোগ।